তৃষ্ণা
প্রশ্রয় পেয়ে জমিয়ে উঠেছে গাছ
খেতে জুড়ে তার ঘরোয়া জোছনা ঢালে
পরিণামহীন রাত জাগে কেউ চোরা
শ্বাস-প্রশ্বাস এলোমেলো দুই গালে
প্রতিরোধ তবু প্রতিবার পরাজয়
বারংবারই হার মেনে নেওয়া চোখ
অথ তরঙ্গ ধুমায়িত হতে দেখা
চিরতৃষ্ণায় পুড়ে মরবার লোভ
নিয়মনিষ্ঠ এগোই পিছোই যত
শত সহস্র অনুশাসনের মার
'ধরে আনো' ব'লে 'বেঁধে আনা' রোষ কতো
উষ্ণতা ঢালে বিদ্রোহী দিনরাত
এভাবে শাসন ইন্দ্রিয় দমন যেন
উদাসী বিকেল শেষ কথা শুধু বলে
গোপন রেখেছি কালে কস্মিন হাওয়া
ভিজে যাওয়া কিছু মুহূর্ত উঠে এলে
কবোষ্ণ কাপ উষ্ণতা ঢালে একা
ছুঁয়ে থাকাটাই অসঙ্গ ধরে নিয়ে
বাঁকবদলে চিহ্নের পথরেখা
তৃষ্ণাটি রাখে সীমানার পারে গিয়ে
এভাবেও...
'জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা...', বলে পথ হেঁটেছিল যেইসব শব্দ,
গাছের ছায়ায় বিশ্রাম, একটু শীতলতা, মায়া কুড়োনো কোল, জুড়ানো আশ্বাস, নিবিড় শান্তি দিতে কেউ আসেনি।
ফুলে ফুলে মধু লুঠ করে অনায়াসে চলে গেছে কেউ বা ফড়ে, কেউ দালাল। হ্যাঁ মশাই হ্যাঁ, এই জগতের কথাই বলছি। এখানে সবই হয় বিধি বাম, অনির্বচনীয় রাম, ওঠা হাঁটাচলা চলতে চলতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মরিয়া
তবু
কোথায় কোন আপনভোলা পথের শেষ যেন আনমনে উদাসীন। চকখড়ি ঘষে ঘষে কাদামাটিতে ধুলোয় আঁক কষছে। কোথাও গাভীন মেঘ, জলছড়া দিতে দিতে ফিরে তাকানো সহজিয়া মা, পল্লীমঙ্গল কন্ঠে দরদী সুর। পথের ধারে নাবাল ক্ষেত, বাঁধ ভেঙে খসে যাওয়া জমির মাটি। শিকড় বাকড় ডিঙিয়ে ফেরা আলপথ ধরে। একান্তে সাঁজাল দেওয়া মন, যেন বহুযুগ আগের কোনো ফেলে আসা দিন।
আর সেই দিনানুদিনের গা বেয়ে নেমে আসা বহুদিনকার কোন ছায়াশরীর আর অক্ষত আয়ুষ্কাল নিয়ে বেঁচে থাকে কথা, বেঁচে থাকে কবিতার মায়াকাজল