ফার্মি প্যারাডক্স: সমস্ত এলিয়েনরা এখন কোথায়!??

লিখেছেন:প্রবীর রুদ্র

Two possibilities exist: Either we are alone in the Universe or we are not. Both are equally terrifying.

– Arthur C. Clarke

I believe in aliens. I think it would be way too selfish of us as mankind to believe we are the only life-forms in the Universe.

– Demi Lovato 

 

এনরিকো ফের্মি 

ফার্মি প্যারাডক্স (Fermi Paradox) নামে পরিচিত ধারণাটি একটি প্রশ্নের উত্থাপন করে: কেন বহির্জাগতিক জীবনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, আমরা এখনও সেই সব সভ্যতার কোনও প্রমাণ পাইনি। ফার্মি প্যারডক্সের এই আপাত বৈপরীত্যটি বহির্জাগতিক সভ্যতার অস্তিত্বের সম্ভাবনা এবং তাদের কোন প্রমাণ না থাকা বা তাদের সাথে যোগাযোগের অভাবের মধ্যে আপাত দ্বন্দ্বটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্যারাডক্স নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মির (Enrico Fermi) নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি মহাকাশ ভ্রমণের কার্যকারিতা এবং বুদ্ধিমান এলিয়েন জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনার সময় এই বিখ্যাত প্রশ্নটি উত্থাপন করেছিলেন।

ফার্মি প্যারাডক্সের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবিত সমাধান এবং ব্যাখ্যা রয়েছে।

ক) বিরল আর্থ হাইপোথিসিস (Rare Earth Hypothesis) অতিরিক্ত বুদ্ধিমান সভ্যতার অস্তিত্বের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয় এই পরামর্শ দিয়ে যে জটিল জীবনের উত্থানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি অত্যন্ত বিরল।

খ) গ্রেট ফিল্টার হাইপোথিসিস (Great Filter Hypothesis) অনুমান করে যে জীবন, তা সে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল, জটিল বহুকোষী বা প্রযুক্তিগত সভ্যতা যাই হোক না কেন, একটি অভেদ্য প্রতিবন্ধকতার কারণে তার বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ার কোনও না কোনও স্তরে আটকে থাকতে পারে।

গ) প্রযুক্তিগত এককত্বের (Technological Singularity) তত্ত্বটি অনুমান করে যে পরিশীলিত সভ্যতা শেষ পর্যন্ত এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে তাদের প্রযুক্তি এমনই এক স্তরে উন্নীত হবে যে তাদের সনাক্ত করা যাবে না এবং অন্যান্য সভ্যতার সাথে যোগাযোগে তারা আগ্রহী হবে না।

ঘ) আত্ম-ধ্বংস: তত্ত্বটি বলে যে এই ধরণের সভ্যতা অন্য গ্রহগুলিতে উপনিবেশ স্থাপন বা মহাকাশে প্রসারিত হওয়ার আগেই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, পরিবেশের অবনতি বা অন্যান্য উপায়ে শেষ পর্যন্ত নিজেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে।

ঙ) অতিক্রম (Transcendence): এই তত্ত্বটি অনুমান করে যে উন্নত সভ্যতা এমন সত্তায় বিকশিত হতে পারে যা মানুষের বোধগম্যতার বাইরে, যেমন শক্তি-বা ডিজিটাল-ভিত্তিক প্রাণী, যা যোগাযোগের প্রচলিত মাধ্যমগুলিকে অপ্রচলিত করে তুলবে।

চ) জু-হাইপোথিসিস (Zoo hypothesis) অনুমান করে যে বহির্জাগতিক সভ্যতাগুলি বিদ্যমান এবং আমাদের সম্পর্কে সচেতন, কিন্তু তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার কারণ হল, হয়তো তারা আমাদের শান্তিতে পর্যবেক্ষণ করতে চায়, বা তারা আমাদের স্বাভাবিকভাবে বিবর্তিত হতে দিতে চায়।

যদিও এই তত্ত্বগুলির প্রত্যেকটি এক একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যে কেন আমরা এখনও বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার কোনও প্রমাণ পাইনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও আসল কারণটি এখনও বিজ্ঞানের বৃহত্তম রহস্যগুলির মধ্যে একটি। আজকাল, বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা গোষ্ঠীর বেশ কিছু গবেষণা প্রতি বছরই প্রকাশিত হয়। বর্তমান এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet) বিপ্লব এই অনুমানকে জোরদার করেছে যে পৃথিবীর বাইরে উন্নত সভ্যতার অস্তিত্ব থাকতে পারে।

এই ধরনের বৈজ্ঞানিক তদন্তে গবেষকদের ব্যবহারের জন্য অনেক যন্ত্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৮ সালের এপ্রিলে, নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (NASA’s Transiting Exoplanet Survey Satellite (TESS)) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং সেটিকে কেপলারের (Kepler) স্থানে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। অন্যান্য অনেক কিছুর মধ্যে, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope) (প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্য ব্যয়ে নির্মিত) ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চালু করা হয়েছিল এবং সেটি বর্তমানে প্রতিবেশী এক্সোপ্ল্যানেটগুলির বায়ুমণ্ডলে সম্ভাব্য বায়োসিগনেচার রাসায়নিক (biosignature chemicals) অনুসন্ধান করছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির প্লেটো (প্ল্যানেটারি ট্রানজিটস অ্যান্ড অসিলেশনস অফ স্টারস) (PLATO (Planetary Transits and Oscillations of Stars)) মিশন ২০২৬ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এই দশকের শেষের দিকে, এক্সোপ্ল্যানেটগুলির বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সহ তিনটি বিশাল স্থল-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণাগার চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই তিনটি হল এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ (Extremely Large Telescope), জায়ান্ট ম্যাগেলান টেলিস্কোপ (Giant Magellan Telescope) এবং থার্টি-মিটার টেলিস্কোপ (Thirty-Meter Telescope)। প্রক্সিমা বি (Proxima B) হল প্রক্সিমা সেন্টাউরি বি (Proxima Centauri B) এর একটি এক্সোপ্ল্যানেট, এবং বৃহত্তর ট্রিপল স্টার সিস্টেম (Triple-star system) আলফা সেন্টাউরির (Alpha Centauri) সদস্য। এই প্রক্সিমা বি লাল বামন তারা (Red-dwarf star) প্রক্সিমা সেন্টাউরিকে প্রদক্ষিণ করে, যা সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র। ব্রেকথ্রু স্টারশট (Breakthrough Starshot) নামে একটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ প্রক্সিমা বি এবং তৎ-পার্শ্ববর্তী বিশ্বের বিস্তারিত গবেষণা পরিচালনার জন্য ছোট, লেজার-সেলিং ন্যানোপ্রোবের (Laser-sailing nanoprobes) ঝাঁক ব্যবহার করতে চায়। এই অনুসন্ধানের লক্ষ্য হল এক প্রজন্মের মধ্যে আমাদের ছায়াপথের নিকটতম প্রতিবেশী আলফা সেন্টাউরি স্টার সিস্টেমে অতি-দ্রুত, আলোক-চালিত ন্যানোক্রাফ্ট (স্টারচিপস) পাঠানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। ২০৫০ সালের মধ্যে, যদি প্রযুক্তির বিকাশ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যায়, তবে এই রোবোটিক আন্তঃগ্রহীয় যানবাহনগুলির মধ্যে প্রথমটি তার যাত্রা শুরু করতে পারে।

এই ধরনের মিশন এবং সরঞ্জামগুলি বিজ্ঞানীদের অ্যাস্ট্রোবায়োলজি (Astrobiology) সম্পর্কে জ্ঞান সম্প্রসারণে সহায়তা করবে, যা এখনও খুবই সীমিত। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের পৃথিবীর কাছাকাছি কোথাও জীবনকে সমর্থন করে এমন জগৎ রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই নেই। যেহেতু আমাদের প্রাণীজগতের মধ্যে একমাত্র ব্যাকটেরিয়া (bacteria) কঠোর পরিবেশ ও পরিস্থিতি সহ্য করতে পারে, তাই পৃথিবীতে পরিচালিত গবেষণার ভিত্তিতে বোঝা গিয়েছে যে মঙ্গল গ্রহে, বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা-য়, এবং শনির বিশাল উপগ্রহ এনসেলাডাস এবং টাইটানে মাইক্রোবিয়াল (জীবাণু) জীবনের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এই গ্রহ বা উপগ্রহগুলির মধ্যে কোনওটিই আমাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে অনুসন্ধান করা হয়নি।

কিন্তু ফার্মি প্যারাডক্স শুধুমাত্র মাইক্রোঅর্গানিজমস্‌ (microorganisms)-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য, আমাদের অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে যে বহির্জাগতিক জীবনের আবির্ভাবের সম্ভাবনা কতটা এবং কত ঘন ঘন সেই ঘটনা ঘটে। সেইসাথে জানতে হবে যে সেই বহির্জাগতিক প্রাণী অন্য কোন সংবেদনশীল প্রাণীর সাথে যোগাযোগ করার বা আন্তঃনাক্ষত্রিক ভ্রমণ করার ক্ষমতা এবং প্রবণতা অর্জন করতে পেরেছে কিনা। সম্ভবত মিল্কিওয়ে ছায়াপথের (Milky Way galaxy) সবচেয়ে প্রচলিত জীবন-সহায়ক আবাসস্থল হল ভূগর্ভস্থ জল, যেরকমটি ইউরোপা এবং এনসেলাডাসে পাওয়া যায়। এটি অসম্ভব বলে মনে হয় যে এই ধরনের পরিবেশে বিবর্তিত জীবগুলি মহাকাশযান তৈরি করতে পারবে। প্রকৃতপক্ষে মনে হয় যে তাদের একটি বড় সংখ্যা হয়তো সচেতনই নয় যে আবিষ্কার করার জন্য অন্যান্য গ্রহ রয়েছে।

 

পল ট্রেন্টের তোলা ছবি - ইউ এফ ও ? (চিত্রঋণ - https://www.newyorker.com/) 

আরেকটি সম্ভাবনা হল এলিয়েন মনস্তত্ত্ব (alien psychology)। সম্ভবত অনেক উন্নত বহির্জাগতিক সভ্যতা রয়েছে, তবে তাদের বেশিরভাগই মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে বা পৃথিবীতে আসতে চায় না। হয়তো পৃথিবী এবং পৃথিবীবাসী তাদের কাছে জড়বুদ্ধি এবং খুবই বিরক্তিকর। যতক্ষণ না মানবজাতি বুদ্ধিমান এবং গ্রহণযোগ্য হয়ে তাদের "গ্যালাক্টিক ক্লাব"-এ (galactic club) অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ততক্ষণ তারা পৃথিবীর সাথে কোন যোগাযোগ স্থাপন করবে না। এর থেকে বড় উপেক্ষা এবং অপমান হয়তো আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।

অথবা সম্ভবত বেশিরভাগ সংবেদনশীল এলিয়েনরা সাধারণত এই ভয়ে চুপ করে থাকে যে ছায়াপথের প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ করার ফলে তারা বন্দী বা ধ্বংস হতে পারে। এর কারণ হল যে তারা জানে না যে তাদের প্রতিবেশীরা বিজ্ঞ্যান এবং প্রযুক্তির দিক থেকে কতটা শক্তিশালী। তারা এও জানে না যে সেই প্রতিবেশীরা স্বভাবের দিক দিয়ে কতটা উগ্র বা নম্র। প্রয়াত স্টিফেন হকিং (Stephen Hawking) সহ বেশ কিছু গবেষক এই ধরনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন এবং এও বলেছেন যে ঠিক একই কারণে মানবজাতির সক্রিয়ভাবে নিজেকে প্রচার করা উচিত নয়। তাতে আমাদের সুরক্ষা লঙ্ঘন হতে পারে এবং অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে। আমরা আন্তঃনাক্ষত্রিক কলহে জড়িয়ে পড়তে পারি, যা এখন হলিউড (Hollywood) সিনেমা স্টারওয়ার্স-এ (star wars) দেখা যায়। আজকের কল্পবিজ্ঞান কালকের বাস্তব হতেই পারে। মহাবিশ্ব একটি অন্ধকার বনের মতো। প্রতিটি সভ্যতা একটি শিকারী। লুকিয়ে থাকাই বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় কারণ যে কোনও যোগাযোগই ধ্বংসের ঝুঁকি নিয়ে আসবে।

তাছাড়া সংবেদনশীল এলিয়েনদের অনুসন্ধানের সাথে যুক্ত ব্যবহারিক চ্যালেঞ্জগুলিও রয়েছে। মহাবিশ্ব অকল্পনীয়ভাবে বিশাল এবং অসাধারণভাবে প্রাচীন। মানব ইতিহাসের শুরু থেকে মাত্র ২০০,০০০ বছর কেটেছে, এবং শুধুমাত্র ১৯৬০ সাল থেকে আমরা সম্ভাব্য অজাগতিক বা এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল (extra-terrestrial (ET)) রেডিও ট্রান্সমিশনের (radio transmission) সন্ধান করছি। তারা খুব দূরে থাকতে পারে, এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে যা আমরা বুঝতে পারি না, বা এমন মাত্রায় (dimension) বিদ্যমান যা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। সুতরাং, স্থান এবং কালে (space & time) একটি সনাক্তযোগ্য এলিয়েন সভ্যতার সাথে আমাদের মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

বেশিরভাগ শিক্ষাবিদ বিশ্বাস করেন যে ফার্মি প্যারাডক্সের সম্ভবত কোনও একক উত্তর নেই। এখন আমাদের সামনে যে "গভীর নীরবতা" রয়েছে তা সম্ভবত বেশ কয়েকটি পরিস্থিতির ফল, যার মধ্যে কয়েকটি হয়তো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়গুলির বৈশিষ্ট্য আরও স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ফার্মি প্যারাডক্স নিয়ে খুব বেশি কিছু ভাবা বা বলার পর্যায়ে হয়তো আমরা পৌঁছাই নি। কিন্তু মানুষের মন কল্পনাপ্রবণ। অবিশ্বাস্যকে বিশ্বাস করতে চায়। এই কারণেই ইউ.এফ.ও (UFO) (Unidentified flying object)-এর ধারণাটি মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েক দশক ধরে অসংখ্য ইউএফও দেখার ঘটনা খবরের শিরোনামে এসেছে (বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে)। দাবি করা হয় যে এই জিনিসগুলি রাডারে (radar) ট্র্যাক করা হয়েছে, প্রশিক্ষিত পাইলটরা দেখেছেন এবং ইনফ্রারেড এবং ভিজ্যুয়াল ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। আনেক সাধারণ মানুষও দাবি করেছেন যে তারা ইউএফও-এর দর্শন পেয়েছেন। কিন্তু কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে বলে না যে এলিয়েনদের অস্তিত্ব রয়েছে, তবে তারা অস্বীকারও করে না। তাই ইউএফও এবং এলিয়েনদের নিয়ে অসংখ্য সিনেমা, টিভি সিরিয়াল, টক-শো, ইত্যাদি হয়েছে। বহু লেখক তাদের লেখনীর মধ্যে জায়গা দিয়েছেন এলিয়েনদের।

২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মতো অন্যান্য গ্রহগুলিতে বহির্জাগতিক জীবনের লক্ষণগুলি সনাক্ত করার লক্ষ্যে নাসা হ্যাবিটেবল ওয়ার্ল্ডস অবজারভেটরি (Habitable World Observatory) তৈরি করছে। পর্যবেক্ষণাগারটি পৃথিবীর বাইরে জীবনের উপস্থিতি অনুসন্ধান করবে এবং বিভিন্ন জৈব স্বাক্ষর চিহ্নিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে। সংক্ষেপে, উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা এবং আবিষ্কারের মাধ্যমে বহির্জাগতিক জীবনের সন্ধান এগিয়ে চলেছে। যদিও বহির্জাগতিক জীবনের সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি, এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা মানবতার অন্যতম গভীর প্রশ্নগুলির সমাধানের কাছাকাছি আমাদের নিয়ে আসছে।

 

If aliens visit us the outcome would be much as when Columbus landed in America which didn’t turn out well for the native Americans.

--Stephen Hawking

 

0 Comments
Leave a reply