উপঢৌকন
দুর্দম আহ্বান ছিল আখরে, শব্দে
ভাবে ভঙ্গিতে তখন সিঁড়িতে ওঠার উজান
উজিয়ে আসছে সুর, স্বরলিপি, সৌরভ
বিকেল ঝাঁটিয়ে যাচ্ছে যাবতীয় জঞ্জাল
সকাল আনতে তার কী উন্মাদনা
মিল্কিওয়ে নেমে আসছে বারান্দায়
উপহার উপঢৌকন উজিয়ে যাচ্ছে উপভোগে
সম্পৃক্ত, সমৃদ্ধ হতে হতে তোর ওষ্ঠে স্ফুরিত আমার গান
আমি প্রমিথিউস হয়ে স্বর্গ থেকে চুরি করা আগুন
তোকে দিচ্ছি দহনে, উজ্জীবনে, সুসভ্যতায়
প্রত্ন আকরিক থেকে বেরিয়ে আসছে খাঁটি সোনা
ঝঙ্কারে, বিদ্যুচ্চমকে এককের গান তখন আকাশ ফুঁড়ে অন্য আকাশে
শিকার তীরন্দাজ হয়ে তীরবিদ্ধ করছে শিকারীকে
অমল জ্যোৎস্নায় ভাসাচ্ছে স্বর্গ ও স্বর্গসুখের চরাচর !
কনে দেখা আলোয় ভৈরবী
কনে দেখা আলোয় দেখেছি সে গান
আর আমি ভাঙতে ভাঙতে কখনও বালুচর কখনও সমুদ্র
উড়িয়ে দিগন্ত আঁচল কেউ টানে অন্য ভুবনে
ইনহিবিশন, সংস্কার এক সামাজিক ভ্রম
জ্যোৎস্না রাতে নেমে আসে চাঁদ স্নানঘাটে
বিশুদ্ধ কবিতা শেখায়, স্বাভাবিক স্বরবর্ণ উচ্চারণে
ছন্দ ভেঙে নতুন ছন্দ, পান্ডুলিপি গ্যালন গ্যালন জ্যোৎস্নায়
ঠোঁটে ঠোঁট চিনেছে আগ্রাসন, বুকে বুকে মাদল দ্রিমি দ্রিমি
পলাশে শিমুলে সাজাই তোকে, কুহুকে অন্তরীণ করি
চিরবসন্ত হৃদয়ে বাসা বাঁধে, গোধূলিতে ঘাতক সকাল
পূরবীকে ভেঙে চুরে ভৈরবী তিলক কামোদে নাচে ভারি
ভেঙে দেয় রীতি নীতি এ যাবৎ সমস্ত সংস্কার
শুধু থাকে কনে দেখা আলোর বুকে এক দুরন্ত ভৈরবী !
দ্রাঘিমার সন্ত্রাস
অদ্ভুত দ্রাঘিমা এক উচ্চারণে অবাধ্য সন্ত্রাস
ইনহিবিশন খুলে রেখে আসো চানঘরে
সহজ সহজিয়া গান হয়ে করে যাও প্রবেশ অন্তরে
আরও অন্তরে যতক্ষণ না শরীর স্বরলিপি হয়
যতক্ষণ না ঝঙ্কারে ঝঙ্কারে সিম্ফনি মূর্চ্ছা যায়
আয় তবে আয় অরণ্য আদিম সুসভ্যতায়
আদম ঈভ মাধ্যাকর্ষণকে পাত্তা না দিয়ে আপেল ছুঁড়ুক মুক্তিবেগে !